ঢাকা, মুন্সীগঞ্জ, রাজবাড়ী, মানিকগঞ্জ, ফরিদপুর ও শরিয়তপুর জেলার বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে পারে।
এছাড়া ব্রক্ষ্মপুত্র ও যমুনা নদ নদীসমূহের পানিসমতল ধীরগতিতে হ্রাস পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
গঙ্গাÑপদ্মা নদীসমূহের পানি সমতল বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামী ২৪ ঘন্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
আপার মেঘনা অববাহিকার সুরমা নদীর পানি সমতল হ্রাস পাচ্ছে, অপরদিকে কুশিয়ারা নদীর পানিসমতল স্থিতিশীল আছে। আগামী ৭২ ঘন্টায় এই প্রধান অববাহিকার নদীসমূহের পানি সমতল হ্রাস পেতে পারে।
অন্যদিক পদ্মানদীর মাওয়া পয়েন্টের পানিস্তর আগামী ২৪ ঘন্টায় বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি পেয়ে আগামী ২৪ ঘন্টায় ডালিয়া পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ধরলা নদীর পানি সমতলও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘন্টায় কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, বগুড়া, জামালপুর, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইল জেলার বন্যা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘন্টায় সারাদেশে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত হয়েছে গাইবান্ধা ১১৬ মিলিমিটার, কুড়িগ্রাম ১৩২ মিলিমিটার. ডালিয়া ১০৫ মিলিমিটার, চিলমারী ৯৫ মিলিমিটার মহেশখোলা ৮৬ মিলিমিটার, ঠাকুরগাঁও ৮০ মিলিমিটার, নাকুয়া গাও ৮০ মিলিমিটার, বগুড়া ৫৫ মিলিমিটার, দূর্গাপুর ৫৬ মিলিমিটার চট্টগ্রাম ৫০ মিলিমিটার ও নওগাঁ ৬০ মিলিমিটার।
দেশের পর্যবেক্ষণাধীন ১০১ টি পানি সমতল স্টেশনের মধ্যে ৬৬ টি স্টেশনের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে হ্রাস পেয়েছে ৩১ টি পানি সমতল স্টেশনের। অপরিবর্তিত পানি সমতল স্টেশন ০৪ টি, বিপদসীমার উপরে ১৬ টি আছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র।
ঢাকা, ৩ জুলাই, ২০২০ (বাসস) :