দেশ টিবি ডেস্ক:: ভূতুড়ে বিদ্যুৎ বিলকাণ্ডে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে দেশের চার বিতরণ সংস্থার ২৯০ কর্মকর্তা-কর্মচারীর শাস্তির সুপারিশ করেছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। রোববার (০৫ জুলাই) দুপুরে বিলের অনিয়ম নিয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ।
তিনি দাবি করেন, কোনো গ্রাহককেই অতিরিক্ত বিল দেয়ার বিড়ম্বনা সইতে হবে না। জানান, রিডিং ছাড়া কোনো বিলও প্রস্তুত করবে না বিতরণ সংস্থাগুলো।
করোনার বাস্তবতায় গ্রাহকদের সুবিধা দিতে গিয়ে, তিন মাসের বিলম্ব বিদ্যুৎ বিল মওকুফের ঘোষণা দেয় সরকার। এ সময়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিটার রিডিং না নিয়ে, অনুমান নির্ভর বিল প্রস্তুত করে বিদ্যুতের বিতরণ সংস্থাগুলো।
আর এই ঘটনািই কাল হয় গ্রাহকদের কাছে। মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিলে বড় রকমের বিড়ম্বনা দেখা দেয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্ধারিত বিলের ১০ গুণ পর্যন্ত বেশি বিলেরও দায় চেপেছে গ্রাহকদের কাঁধে।
এ অবস্থায় জড়িত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করতে ২৫ জুন টাস্কফোর্স গঠন করে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়। কমিটিকে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হলেও, ১০ দিনের মাথায় এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করলো মন্ত্রণালয়।
রোববার অনলাইন এই ব্রিফিং এ জানানো হয়, দেশের ৬ বিতরণ সংস্থার মধ্যে পিডিবি ও পল্লী বিদ্যুৎ ছাড়া ৪ কোম্পানিই প্রতিবেদন দিয়েছে। মোট ২৯০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ সচিব ড. সুলতান আহমেদ বলেন, সামাজিক দূরত্ব রাখতে গিয়ে মিটার না দেখে আগের বিলের সঙ্গে গড় করে বিল করায় কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছে। এরইমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে, শাস্তির আওতায়ও এসেছেন অনেকে। কোনো অনিয়ম পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিদ্যুৎ সচিব দাবি করেন, অতিরিক্ত বিল সমন্বয়ের ক্ষেত্রে কোনো গ্রাহককে তার নির্ধারিত বিল স্লাব বা বিলের হার পরিবর্তনের ফলে বাড়তি বিল দিতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, এ কারণে কোনো গ্রাহক ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। কাউকেই ব্যবহারের অতিরিক্ত বিল পরিশোধ করতে হবে না। যেসব অভিযোগ এসেছে তাদের বিল সমন্বয় করা হচ্ছে। আরও অভিযোগ এলে সেগুলোও সমন্বয় করা হবে।
দেশের সব বিতরণ সংস্থা মিলে ৬১ হাজার ২৬৫ জনের বিলে অসঙ্গতি এসেছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ বিভাগ জানায়, শিল্প ও বাণিজ্য সংযোগে বিলম্ব মাশুলের কোনো সিদ্ধান্ত নেয় নি সরকার।