সিলেট সংবাদদাতা
সিলেটের আলোচিত দক্ষিণ সুরমার কদমতলীর সেই ফেরীঘাট ও পরিবেশ অধিদপ্তর কার্যালয়ের পিছনে ভেঙ্গের ছাতার মতো গড়ে উঠা অবৈধ স্টোন ক্রাশার মিলের জব্দকৃত মালামাল অবশেষে নিলাম করা হয়েছেে।
১৪ জুলাই মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে জব্দ করা ১ লাখ ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর নিলাম করা হয়। তাতে দেড় কোটি টাকার পাথর বিক্রি হয় মাত্র ৫১ লক্ষ টাকায়।
কিন্তু ভাংচুরকৃত সেই ৪০টি ক্রাশার মেশিন কেন নিলাম করা হল না, সেই রহস্য কেউ খুজে পাচ্ছেন না । তবে পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বলা হচ্ছে ক্রাশার মেশিনগুলো ভাংচুরকৃত, তাই যথাস্থানে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
উপস্থিত এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ভাংচুরকৃত ক্রাশার মেশিনের ভাংগাড়ীর দোকানে বিক্রি করলে কমপক্ষে ৩/৪ লক্ষ টাকা পাওয়া যেতো। আর সেই ক্রাশার মেশিন মেরামত করার জন্য রাতের আঁধারে কথিপয় লোকজন লুকিয়ে নিয়ে যায়। ভাংচুরকৃত মেশিন পাচারের সাথে সিলেট বিভাগীয় জুনিয়র কেমিস্ট মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে।
নিলামকালে উপস্থিত ছিলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ইমরান হোসেন, সহকারী কমিশনার (নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট) মোঃ মিছবাহ উদ্দিন, ২৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌফিক বক্স লিপন, পুলিশ, র্যাব সহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাগণ।
জানা যায়, আলোচিত-সমালোচিত ১লাখ ৩০ হাজার ফুট জব্দকৃত মঙ্গলবার ৫১ লক্ষ টাকা নিলাম ডাকেন দক্ষিণ সুরমার গোটাটিকর এলাকার মৃত ইর্শাদ আলীর পুত্র নূরুল ইসলাম। নিলাম হাকা ব্যক্তি হলেন পাথর ব্যবসায়ী নজরুল এর লোক। নজরুল নিজের মালামাল নিজের কাছে রাখার জন্য নূরুল ইসলামের মাধ্যমে পাথর নিলাম হাকান বলে জানা গেছে । অভিযোগ উঠেছে, রাতেই সকল কর্তাকে ম্যানেজ করে ৪০টি ক্রাশার’সহ বিভিন্ন মেশিন নিয়ে যায় পাথরখেকোরা। তাই পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ইমরান হোসেনের স্বচ্ছতা নিয়ে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
পাথর নিলামের বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক ইমরান হোসেনের সাথে আলাপ করলে তিনি জানান, কদমতলী ফেরীঘাট এলাকার জব্দকৃত পাথর ৫১ লক্ষ টাকায় নিলামে বিক্রি হয়েছে। তবে ভাংচুরকৃত ৪০টি ক্রাশার মেশিন কেন নিলাম করা হলো না, এ বিষয়ে তিনি কোন কিছু বলতে রাজি হননি। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ক্রাশার মেশিন একেবারে ধ্বংস করা হয়েছে, তাই নিলামে আনা হয়নি।