মাওলানা ফিরোজ উদ্দিন
আজ থেকে প্রায় নয় শত বছর পূর্বে হজরত শাহ্ জালাল ও শাহ্ পরান(র.) সহ ৩৬০ জন , তাঁহার ছফর সংগী সাথে নিয়ে সিলেট এসেছিলেন। তিনি দ্বীন প্রচারের আস্থানা হিসেবে বেচে নিয়েছিলেন তৎকালীন রাজা গৌড় গবীন্দের বাসস্থান থেকে মাত্র ৩/৪ মিনিটের দুরত্ব স্থানে। তিনি সিলেটে এসেছিলেন তাঁহার মামা আহমদ কবির গিফারী (র.)এর নির্দেশক্রমে। তাঁহার সংগী সাথীদের ইসলামের দাওয়াত পেয়ে, বৃহত্তর সিলেট অঞ্চলের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষগুলো ইসলামের ছায়া তলে আশ্রায় গ্রহন করে শান্তি ও নিরাপত্তার ধর্ম গ্রহন করে। এরই ধারাবাহিকতায় আজ সিলেটের মানুষ ধর্ম প্রাণ, ধর্ম-কর্ম এবং ধর্মীয় সংস্কৃতির দিক দিয়ে সিলেটবাসীর রয়েছে এক আলাদা অনন্য ঐতিহ্যের উত্তারাধিকারীতা। তাই হজরত শাহ্ জালাল ও শাহ্ পরান (র.)সহ ৩৬০ আউলিয়ার প্রতি সম্মান দেখিয়ে এখানে একটি আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হলে, এক দিকে যেমন তাঁদের প্রতি সম্মান দেখনো হতো অন্যদিকে এ বিশ^বিদ্যালয়ের ফসলের সেই ঐতিহ্যের ধারা, দেশের সীমা পেরিয়ে ছড়িয়ে দিত বিশ্বময়। আর এতে উপকৃত হবে বিশ্ববাসী। তাই এখনই সময়ের দাবী সিলেট একটি আন্তর্জাতিক মানের পুর্ণাঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা।
সবিনয়ের সাথে বলছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি এখানে আন্তর্জাতিক মানের একটি পুর্ণাঙ্গ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়, তবে প্রতি বছর অগনিত ছাত্র /ছাত্রী ধর্মী বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আমাদের এ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসত বলে এদেশের গুনীজন,সুশীল সমাজ ও দেশপ্রেমিক মানুষ মনে করে ।এতে আমাদের দেশ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সহ অর্থনৈতিক ভাবে দেশ অনেকটা সাবলম্বী হতো।এখানে শেষ নহে দেশের মানুষের বেকারত্ব দূর হতো,কর্ম সংস্থা ও সুনাম আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৃদ্ধি পেত।
অন্য দিকে ধর্মী বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য আমাদের দেশ থেকে প্রতি বছর শত শত ছাত্র /ছাত্রী ভিন দেশে গিয়ে পড়াশুনা করতে লক্ষ লক্ষ বৈদেশিক মুদ্রা দেশের বাহিরে গিয়ে খরছ করছে ।এতে করে আমাদের অনিচ্ছাকৃত ভাবে দেশের বাহিরে লক্ষ লক্ষ মুদ্রা চলে যাচ্ছে ।
সেই জন্য দেশের মানুষ মনে করে আর দেরী না করে সিলেটে হজরাত শাহ্ জালাল ও শাহ্ পরান (র.)সহ ৩৬০ আউলিয়ার স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে সিলেটে একটি অন্তর্জাতিক মানের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে দেশবাসীর প্রত্যাশা ও সিলেট বাসীর দাবী পূরণ হতো । এজন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে বুকভরা আশা নিয়ে, বিনয়ের সাথে দাবী করছি আপনিই পারবেন দেশবাসীর প্রত্যাশা ও সিলেট বাসীর দাবী পূরণ করতে ।আল্লাহ আমাদের সহায় হোন।
মাওলানা ফিরোজ উদ্দিন
আহবায়ক
সিলেট ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দাবী বাস্তবায়ন পরিষদ, সিলেট বাংরাদেশ।