ছাতক প্রতিনিধি।।
ছাতক উপজেলার জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিকের বিরুদ্ধে দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের সকল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক যেখানে বি.এ.বিএড কিংবা এম.এ.এমএড ডিগ্রীধারী সেখানে সাধারন বি.এ ডিগ্রী নিয়ে তিনি শিক্ষকতা করিয়া আসিতেছেন। যার ফলে ১৯৭৪ সালে প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়টি আজও হাই সেকশন হিসাবে অনুমোদন পায়নি। নিজের পদ রক্ষার্থে হাই সেকশন করা বিষয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহন করেননি তিনি। বিগত বৎসর সরকার হাজার হাজার স্কুল এমপিও ভুক্ত হাই সেকশন করলেও এই বিদ্যালয়টি তালিকা ভুক্ত ছিল না। প্রায় পিয়নের সমতুল্য বেতনের এই প্রধান শিক্ষক কোনো উপায় না পেয়ে দুর্নীতির মাধ্যমে বিদ্যালয়কে বানিয়েছেন জীবিকার উৎস। বিএনপির একনিষ্ট কর্মী হিসাবে পরিচিত প্রধান শিক্ষক সেচ্ছায় আওয়ামীলীগ কর্মী হয়ে যান। আর সে সুবাদে চালাতে থাকেন দুর্নীতি। বিদ্যালয়ে নিজস্ব লোকজন নিয়ে কমিটি গঠন বেশির ভাগ সময় এডহক কমিটি দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা,বিদ্যালয়ে কোন হিসাব নিকাশ না দেওয়া, সিলেট বাসায় থেকে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন-ভাতা নেওয়া,এসব নিয়ে এলাকাবাসী বিভিন্ন সময় অভিযোগ বেশ কয়েকবার কর জোরে ক্ষমাপ্রার্থী ও সংশোধনের সুযোগ নেন। ভর্তি ফি,সেকশন ফি,পরীক্ষার ফি সব আত্মসাৎ করে বিদ্যালয়কে বানিয়েছেন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
কোনো অভিভাবক শিক্ষার বিষয়ে কিছু বললে তিনি হিংস্র হয়ে উঠেন, দূর্নীতি মাধ্যমে অর্জিত টাকার একটা অংশ দিয়ে গড়ে তুলেছেন একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এই ধারাবাহিক দূর্নীতির প্রতিবাদ করায় গত “৪ই আগস্ট আওয়ামীলীগ নেতা আজব আলীর উপর চোরাগুপ্তা হামলা চালান প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক। এতে আজব আলী ও তার ছেলে আইমান উদ্দিন গুরুতর আহত হয়ে সিলেট ওসমানী মেডিকেলে ভর্তি হয়। এলাকায় উত্তেজনা পরিস্থিতি বিরাজ করছে । মামলা বাজ, সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টিকারী এই অযোগ্য ধান্দাবাজ প্রধান শিক্ষক এর অপসারণের দাবীতে এলাকাবাসী সোচ্ছার। বিষয় সম্পর্কে প্রশাসনের দৃষ্টি দেওয়া একান্ত আবশ্যক।
সুনামগঞ্জের ছাতকে বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং আওয়ামীলীগ নেতা আজব আলী ও তার ছেলে আইমান এর উপর নব্য আওয়ামীলীগার আব্দুল মালিক, আব্দুল খালিক গংদের সন্ত্রাসী হামলা ।
এলাকা সূত্রে জানা যায়, ছাতকের জাহিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির বিরোধ নিয়ে, আ’লীগ নেতা আজব আলী ও তার পুএ আইমান এর উপর উক্ত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক ও তাহার ভাই আব্দুল খালিক সহ নিজেস্ব পেটোয়া/ সন্ত্রাসী বাহিনির হামলায় ১০/১২ জন লোক আহত হয় এবং পরবর্তীতে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
উল্লেখ্য যে, বিদ্যালয়ের কমিটি নিয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক দির্ঘদিন ধরে টালবাহানা করে যাচ্ছেন। তা’ছাড়া উনার বিরোদ্ধে অনিয়মিত স্কুল করার অভিযোগ রয়েছে।
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি গঠন করার লক্ষ্যে কয়েকটি সভা ডাকা হলেও, আব্দুল মালিক সবকটি সভায় নিজেকে অনুপস্থিত রেখে নিজের পছন্দ মত এলাকার জনগনের অজান্তে একটি কমিটি গঠন করেন। উক্ত কমিটিতে গয়াছ মিয়া নামের আরেক সন্ত্রাসীকে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি করার কতা জানা যায়। এই গয়াছ মিয়া এলাকায় সুদখোর হিসেবে পরিচিত এবং অতীতে তার নামে মদ-গাজা সহ বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ডের সাথে জরিত ছিল বলে জানা যায়। বর্তমান প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালিক টাকার বিনিময়ে এই গয়াছ মিয়াকে তার লাটিয়াল বাহিনি হিসেবে এলাকায় প্রতিষ্টিত করে এবং বিনিময়ে তাকে স্কুলের সভাপতি করার পরিকল্পনা করেন বলে জানা যায়।
আরো জানা যায় যে, গয়াছ মিয়া এলাকায় একজন অশিক্ষিত লোক যার নুন্নতম শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই কোন বিদ্যালয় পরিচালনা করার মত।
এইসব কর্মকান্ডের বিরোধিতা করতে গেলে গত ৪ অগাস্ট আব্দুল মালিক এবং আব্দুল খালিক সহ, তাহাদের পেটোয়া বাহিনি পুর্বপরিকল্পত ভাবে আজব আলীর উপর অতর্কিত হামলা করে বসে ।
একাধিক তথ্য সূত্রে জানা যায়,
আব্দুল মালিক এবং আব্দুল খালিক সহ গয়াছ মিয়া ২০০৮ সালের নির্বাচনের পুর্বে বিএনপি জামাতের একনিষ্ট সমর্থক ছিলেন ও বিভিন্ন সময়ে সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন মিলন উনাদের বা আসতেন। পরবর্তীতে বর্তমান সরকারের আমলে তারা আ’লীগার হিসেবে এলাকায় নিজেদের পরিচিতি লাভ করেন।
এলাকা বাসীর দাবি এইসব নব্য আ’লীগার সমাজের আনাছে কানাছে লুকিয়ে বিভিন্নভাবে সরকারের পদ-পদবী দখল করে রয়েছে, ঠিক যেমন ভাবে আব্দুল মালিক প্রধান শিক্ষক চেয়ারটি দখল করে আছেন এবং গয়াছ মিয়া সভাপতির। এদের বিষয়ে প্রসাসনের দৃ্ষ্টি আকর্ষনের জোরালো দাবী জানায় এলাকাবাসী।