সিলেট নগরীর জালালাবাদ আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহৃত কম্পিউটার উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যারাতে অভিযান চালিয়ে এসব উদ্ধার করা হয়। সিলেটে সোমবার রাত ও মঙ্গলবার ভোরে পৃথক দুটি অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ৪ নব্য জেএমবির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালানো হয়।
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জালালাবাদ আবাসিক এলাকার ৪৫/১০ নং বাসার মুক্তিযোদ্ধা মইনুল আহমদের বাসায় অভিযান চালায়। এ অভিযানে সিলেট মহানগর পুলিশের সদস্যরাও সহযোগিতা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি করপোরেশনের ৭ নং ওয়ার্ড কউন্সিলর আফতাব হোসেন খান।
তিনি দেশটিভিলাইভ-কে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অভিযানকালে কাউকে আটক করা হয়নি, শুধু বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম ও জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহৃত কম্পিউটার উদ্ধার করা হয়েছে।
এসএমপির একটি সূত্র জানায়, ওই বাসা থেকে বোমা, বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং জঙ্গি তৎপরতায় ব্যবহৃত কম্পিউটার উদ্ধার করেছে পুলিশ। উদ্ধারকৃত কম্পিউটারে বোমা তৈরির বেশকিছু ভিডিও ছিলো। সিলেটে সোমবার রাতে ও মঙ্গলবার ভোরে পৃথক দুটি অভিযানে গ্রেফতার হওয়া ৪ নব্য জেএমবির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে এ বাসায় অভিযান চালানো হয়।
উল্লেখ্য, রোববার রাতে নগরীর মিরাবাজারের উদ্দিপনের ৫১ নম্বর বাসা থেকে নব্য জেএমবি’র সিলেট আঞ্চলিক কমান্ডার ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নাইমুজ্জামানকে আটক করা হয়।পরে ঢাকা থেকে আসা পুলিশের বিশেষ একটি দল মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) ভোর পর্যন্ত নগর ও নগরের উপকন্ঠের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে আরও চার জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে সাদ ও সায়েম নামে দুজন রয়েছেন। বাকী দুজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাদ শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং সায়েম মদনমোহন কলেজের ছাত্র। তাদেরকে ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (গণমাধ্যম) মো. ওয়ালিদ হোসেন বলেন, সিলেট থেকে যে নব্য জেএমবির পাঁচ সদস্য গ্রেপ্তার আছে। তারা পল্টনে বোমা বিস্ফোরণও ঘটনাতেও জড়িত ছিল।
পুলিশের দাবি, সিলেট অঞ্চলের প্রধান নাইমুজ্জামানের নেতৃত্বে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারে হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল তাদের।