ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী শামীমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দাবি করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।
অস্ত্র আইনে দায়ের হওয়া মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশের আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শুনানি শেষে এ দাবি করেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ ও পাপিয়ার স্বামী মতি সুমনের পক্ষের আইনজীবী যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন এবং অপর আসামি পাপিয়ার বিষয়ে যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় শুনানির জন্য ফের ২৭ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন আদলত।
আব্দুল্লাহ আবু বলেন, মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণে আসামিদের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আশা করছি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।
এ মামলায় গত ৮ সেপ্টেম্বর ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনেরই সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। এর আগে ২৩ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন।
গত ২৯ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই মো. আরিফুজ্জামান ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) জমা দেন। অভিযোগপত্রে ১২ জনকে সাক্ষী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও অবৈধ টাকা পাচারের অভিযোগে শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউসহ চার জনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর ২৩ ফেব্রুয়ারি সকালে শামিমা নূর পাপিয়ার রাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসায় অভিযান চালিয়ে একটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগাজিন, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, পাঁচটি পাসপোর্ট, তিনটি চেক, বেশ কিছু বিদেশি মুদ্রা ও বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি এটিএম কার্ড উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় একটি অস্ত্র ও একটি বিশেষ ক্ষমতা আইনে এবং বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা করা হয়।
পাপিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তরুণীদের চাকরি দেয়ার কথা বলে ঢাকায় এনে দেহব্যবসায় জড়িত করতেন পাপিয়া। তিনি প্রভাবশালীদের ব্লাক মেইল করে বড় বড় কাজ বাগিয়ে নিতেন।