সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে বালিকা গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, আইনুল হোসেন ও মো. রাজন। আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে তার ধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
শনিবার (৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে রাজন, মহানগর হাকিম সাইফুর রহমানের আদালতে আইনুল ও মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন খানম নীলার আদালতে রণি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশমনার অমূল কুমার চোধুরী বলেন, আজ এই মামলার তিন আসামি দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। এরআগে গত শুক্রবার আরও তিনজন জবানবন্দি দিয়েছিলো। এ নিয়ে গ্রেপ্তার হওয়া ৮ আসামির মধ্যে ৬ জনই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
এরআগে ৫ দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার দুপুরে কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে রাজন, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি ও আইনুল ইসলামকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে শাহপরান থানা পুলিশ।
সন্ধ্যায় জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন আদালত। এরপর তাকে কারাগারে নিয়ে যায় পুলিশ।
শুক্রবার এই মাশরার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান এবং আরও দুই আসামি অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
এদিকে, মামলার অপর দুই আসামি তারেকুল ইসলাম তারেক ও মাহফুজুর রহমানকে শনিবার দুপুরে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির করে তাদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়। তারা দুজনই ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। রোববার তাদের আদালতে হাজির করা হতে পারে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার এমসি কলেজে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে গণধর্ষণের শিকার হন এক তরুণী। রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্বামীর কাছ থেকে ওই তরুণীকে জোর করে তুলে নিয়ে ছাত্রাবাসে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় কলেজের সামনে তার স্বামীকে বেঁধে রাখা হয়।
এ ঘটনায় ভিকটিমের স্বামী বাদী হয়ে শাহপরান থানায় মামলা করেন। মামলায় ছাত্রলীগের ছয় নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করা হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ। মামলার অপর তিন আসামি অজ্ঞাত। এজাহারভূক্ত ছয় আসামিসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে পাঁচদিন করে প্রত্যেককে রিমান্ডে নেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।