রায়হান হত্যা ঘটনার প্রধান হোতা এস আই আকবরের গ্রেফতার নিয়ে তোলপাড় চলছে সিলেটে। পরিবারে আল্টিমেটাম, এক প্রবাসীর ১০ লাখ ঘোষনা সহ জনমানুষের এক দাবীতে পরিনত হয়েছিল আকবর গ্রেফতার বিষয়টি। ঘটনার পর রহস্যজনকভাবে আকবর লাপাত্তা হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছিল সিলেটে আমজনতা। এমনকি আকবরকে পালাতে সহায়তাকারীকে সনাক্তে ৩ সদস্যেও কমিটিও গঠন করেছে পুলিশ হেটকোয়াটারর্স। আজ দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন -রায়হান হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত পুলিশের এসআই আকবর হোসেন ভূইয়া (সাময়িক বরখাস্ত) বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, আমার বিশ্বাস আকবর এখনও দেশের বাইরে যায়নি। কারণ সীমান্তগুলোকে আমরা সাথেসাথে সতর্ক করে দিয়েছি। তবে আকবর বিদেশে পালিয়ে গেলেও তাকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হবে। এরআগে সিলেটের রাজন হত্যার আসামিকে সৌদি আরব থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিলো।
মঙ্গলবার দুপুরে রায়গানের বাড়িতে গিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের স্বান্তনা দেন সিলেট-১ আসনের এই সাংসদ। এসময় রায়হান হত্যার ন্যায়বিচারেরও আশ্বাস দেন তিনি।
এসবের মধ্যে মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে তথ্য বেরিয়েছে। এনিয়ে খবর প্রকাশ করছে বিভিন্ন গনমাধ্যম। কিন্তু গ্রেফতার তথ্যটি এখনও নিশ্চিত করেনি সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্র। একাধিক সূত্র জানায়, গ্রেফতারের বিষয়টি সত্য। কিন্তু কৌশলগত কারনে স্বীকার করছে না কর্তৃপক্ষ। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের সীমান্ত দিয়ে সে পাড়ি দিয়েছিল প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে। তারপর পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ পড়ে তার উপর। পরিবারের ভবিষ্যত, চিন্তা করেই ভারত থেকে দেশে ফিরে আসে। এরপর হবিগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে পিবিআই সিলেটের এসপি খালেকুজ্জামান বলেন, আকবর গ্রেফতারের বিষয় তিনি কিছু জানেন না। তার কাছে এরকম তথ্যও নেই। তবে বিভিন্ন গণমাধ্যম সূত্রে খবরটি জানতে পেরেছেন বলে জানিয়েছেন এসপি খালেকুজ্জামান। হত্যামামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক (পিবিআই) মুহিদুল ইসলাম জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কোনো সংস্থা আকবরকে গ্রেফতার করলে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে বিষয়টি জানার কথা তার। কিন্তুএ খন (মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা) পর্যন্ত আকবর গ্রেফতারের বিষয়ে কিছু জানেন না তিনি।