টুইটে মোদি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে মমতা দিদিকে তার দল তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের জন্য অভিনন্দন। কেন্দ্র পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে জনগণের প্রত্যাশা ও কোভিড-১৯ মহামারি থেকে বের হয়ে আসতে সব ধরনের সম্ভাব্য সহযোগিতা করা হবে।
নির্বাচনের ফল ঘোষণা শুরুর পর থেকেই মমতা ব্যানার্জিকে অভিনন্দন জানাতে শুরু করেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও রাজনৈতিক দলের নেতারা। এর আগে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল টুইটে মমতাকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘জয়ের জন্য অভিনন্দন। কী অসাধারণ লড়াই! পশ্চিমবঙ্গের মানুষকেও আমার শুভেচ্ছা।’
পশ্চিমবঙ্গে ‘বিজেপিকে বিপুলভাবে পরাজিত’ করার জন্য মমতা ব্যানার্জিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। এক টুইট বার্তায় তিনি এ অভিনন্দন জানান।
এদিকে চরম নাটকীয়তার পর অবশেষে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ আসন নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী করেছে নির্বাচন কমিশন।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীই জিতেছেন। ভোট পুনর্গণনা হবে না বলেও জানিয়ে দিয়েছে কমিশন।
রোববার সন্ধ্যা থেকে নন্দীগ্রামের ভোট গণনা ও ফল ঘোষণা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দেয়। সার্ভারে সমস্যা থাকায় সঠিক তথ্য তুলে ধরতে পারছিল না নির্বাচন কমিশন। অবশেষে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রিটার্নিং অফিসার জানান, নন্দীগ্রামে ১ লাখ ৯ হাজার ৬৭৩ ভোট পেয়েছেন শুভেন্দু। আর তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৭ ভোট। সংযুক্ত মোর্চা সমর্থিত মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ৬ হাজার ১৯৮ ভোট পেয়েছেন। অর্থাৎ, প্রাপ্ত ভোটের নিরিখে শুভেন্দুই সবার চেয়ে এগিয়ে।
ভোট গণনার সময় নন্দীগ্রামে সার্ভারে ত্রুটির জন্য প্রার্থীদের প্রাপ্ত ভোট সঠিকভাবে জানা যাচ্ছিল না। সেখানে প্রায় ৪০ মিনিট ভোট গণনা বন্ধ ছিল। নতুন করে গণনা শুরু হলে ১৭ রাউন্ডের পর জানা যায়, নন্দীগ্রামে মমতা জিতেছেন। কিন্তু শুভেন্দু দাবি করেন, ১ হাজার ৬২২ ভোটে তিনি জয়ী হয়েছেন।
তবে সংবাদ সম্মেলনে নন্দীগ্রামে হেরে গেছেন জানিয়ে মমতা বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ রয়েছে, রায় ঘোষণার পর কারচুপি হয়েছে। আদালতে যাব।’
এর কিছুক্ষণ পরে টুইট করে তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়, নন্দীগ্রামে ভোট গণনা এখনও চলছে। কোনো রকম জল্পনায় কান না দেয়ার অনুরোধও করা হয়। তারপরেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা আরিজ আফতাব ভোট পুনর্গণনা হতে পারে বলে জানান।
আনন্দবাজার পত্রিকার হিসাবে, ক্ষমতাসীন তৃণমূল বর্তমানে ২১৫ আসনে এগিয়ে রয়েছে। আর বিজেপি এগিয়ে আছে ৭৫ আসনে। তবে বিজেপির জন্য একমাত্র স্বস্তির খবর, নন্দীগ্রামে জিতেছেন শুভেন্দু।