সন্ধ্যা থেকে রাত ১১পষন্ত এখানে জমে উঠে আড্ডা, মনে হয় সিলেটে করোনা লেশ মাত্রা নেই। মাস্ক ছাড়াই অনেকে ঘোরাফেরা করছেন। কেউ কেউ মাস্ক ঝুলিয়ে রেখেছেন থুতনিতে। নেই সামাজিক দূরত্ব। সামাজিক দুরত্ব না মেনে তারা আড্ডা দিচ্ছেন ঘা ঘেষাঘেষি করে দাঁড়াচ্ছেন। দেখে মনে হবে এখানে করোনা চাষ হচ্ছে। যেখানে করোনার সংক্রমণের ফলে লকডাউন দিচ্ছে সেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানতে নারাজ ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীও আড্ডাবাজরা।
ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী স্বাস্থ্যবিধি মেনেই ব্যবসা করছেন। দীর্ঘ সময় মাস্ক মুখে পরে কথা বলেতে সমস্যা হয় বলে মাঝে মধ্যে মাস্ক খুলে পকেটে রেখে দেন। অনেকেই আবার করোনা বলে কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন।
এদিকে কোভিড-১৯–এর বিস্তার ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য হাটবাজারগুলো খোলা স্থানে সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। ১২ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগ দেশের সব জেলা প্রশাসক, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের এ নির্দেশনা জানিয়ে চিঠি দেয়।
তবে সিলেটে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নামমাত্র অভিযান মাঝে মধ্যে দেখা যায়। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে চলতে থাকলে সিলেটে করোনা ভয়াবহ রূপ ধারণ করবে বলে বলছেন সংশ্লিষ্টরা।
সংখ্যা পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের সকল নাগরিকের স্বাস্থ্যবিধি মানাতে ধীরে ধীরে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
তবে লকডানের মধ্যেও সিলেটে রাস্তাঘাট এবং হাট-বাজারে বাড়ছে মানুষের ঢল। বৈশাখের গরমে তাপমাত্রা বাড়ায় করোনার প্রভাব কমবে! এমন ভ্রান্ত ধারণা থেকে অসচেতন মানুষের মুখে জনসমাগমস্থলে নেই মাস্ক। ভ্রাম্যমাণবাজার থেকে অভিজাত বিপণিবিতান-সবখানেই সচেতনতার অভাব।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে না চলায় সিলেটে আবারও বাড়ছে করোনার প্রকোপ। এসব কারণে সিলেটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে। হাসপাতালে বাড়ছে করোনারোগী। বাড়ছে মৃত্যুও।