দেশ ডেক্স।।
জুমাতুল বিদায়ে বিক্ষোভে উত্তাল আল-আকসা
রমজানের শেষ জুমায় হাজার হাজার ফিলিস্তিনি মুসল্লি জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে জমায়েত হন। শুক্রবার (৭ মে) অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের উচ্ছেদের কবলেপড়া ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে বিক্ষোভ করেছেন তারা। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও আলজাজিরা এমন খবর দিয়েছে।
ইসরাইলের ব্যাপক করোনার টিকাদান কর্মসূচির কারণে স্বাস্থ্যবিধি তুলে নেওয়া হয়েছে। মুসিল্লরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম স্থানে জুমার নামাজ আদায় করেন।
চলমান উত্তেজনার মধ্যেই শেখ তাইসির আবু সুনাইনাহের শুক্রবারের খুতবায় ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংঘাতের বিষয়টিই বেশি স্থান পেয়েছে। শেখ জাররাহ গ্রামের অধিবাসীদের তিনি বলেন, বাড়িতে আপনারা অবিচল ও সহনশীল থাকবেন। তিনি সবাইকে ধৈর্যহারা হতে না করেন।
জুমার পর উচ্ছেদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে হাজারো মুসল্লি আল-আকসা প্রাঙ্গণে অবস্থান নেন। এ সময়ে ফিলিস্তিনি পতাকা উড়িয়ে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলেন, জীবন দিয়ে হলেও আমরা আল-আকসাকে উদ্ধার করব।
সোমবার শেখ জাররাহ গ্রামটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে ইসরাইলি সুপ্রিমকোর্টে শুনানি হবে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন জানায়, যদি গ্রামটি থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের নির্দেশ দেওয়া এবং তা বাস্তবায়ন করা হয়, তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইসরাইল তার বাধ্যবাধকতা লঙ্ঘন করবে।
হাইকমিশনের মুখপাত্র রুপার্ট কোলভিল্লি বলেন, শেখ জাররাহসহ সব জবরদস্তিমূলক উচ্ছেদ বন্ধে আমরা ইসরাইলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। এতে দেশটিকে এমন সব তৎপরতা থেকেও বিরত থাকতে বলা হয়েছে, যাতে বলপ্রয়োগ ও জোরপূর্বক উচ্ছেদের পরিবেশ তৈরি হয়।
এর আগে মঙ্গলবার রাতে দ্বিতীয়বারের মতো গ্রামটিতে অভিযান চালায় ইসরাইলি বাহিনী। তারা সেখানে বিক্ষোভকারীদের মারধর ও তাদের ওপর দূষিত পানি নিক্ষেপ করে। এ সময় বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
১৯৫৬ সাল থেকে গ্রামটির ২৭টি বাড়িতে ৩৭ ফিলিস্তিনি পরিবার বসবাস করে আসছেন। তাদের মধ্যে ২৮টি শরণার্থী পরিবার ১৯৪৮ সালে জাফা ও হাইফায় জাতিগত শুদ্ধি অভিযানের মুখে এই গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছিল। কিন্তু অবৈধ দখলদাররা এখন তাদের উচ্ছেদ করতে মরিয়া।