মঙ্গলবার দিনব্যাপী র্যাব-৯ এর একটি বিশেষ দল দিরাই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এক নারীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে- ইসলামপুর গ্রামের মৃত আব্দুল কাইয়ুম’র স্ত্রী আল বাহার (৩৫), ভাঙ্গাডহর গ্রামের জলধর দাসের ছেলে সত্য রঞ্জন দাস (৫৫), নরোত্তম পুর গ্রামের ফজলুল হকের ছেলে নাছির উদ্দীন (৩৫), দাউদপুর গ্রামের আব্দুল তোয়াহিতের ছেলে নাজমুল হুসাইন (৪৯), নরোত্তমপুর গ্রামের মুসলিম উল্লাহর ছেলে লুৎফুর রহমান (৩৫) ও ভাঙ্গা ডহর গ্রামের মকবুল আলীর ছেলে আব্দুল মালেক (৩০)।
র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, আটককৃতরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দুদু মিয়া হত্যাকান্ডে তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেন।
তারা আরও জানান, দুদু মিয়া হত্যার মূলহোতা হলেন দাউদ পুর গ্রামের নাজমুল হুসাইনের ছোট ভাই কবির মিয়া ও তার সহযোগী ভাঙ্গা ডহর গ্রামের দোলন মিয়া। দুদু মিয়ার সাথে কবির মিয়ার আর্থিক লেনদেন নিয়ে শত্রুতার জের এবং দুদু মিয়া কর্তৃক কবির মিয়া সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও অপমানিত হওয়ায় এর প্রতিশোধ হিসেবে কবির তার সহযোগীদের নিয়ে দুদু মিয়াকে হত্যা করে এবং পরে শরীরের বিভিন্ন অংশ বিচ্ছিন্ন করার মতো জঘন্য অপরাধটি করে। দিরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আজিজুর রহমান ৬ জন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার মূল হোতা কবির ও দোলনকে ধরতে অভিযান চলেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে র্যাব ৬ জনকে আটক করে মঙ্গলবার গভীর রাতে দিরাই থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে র্যাব। তাদের বুধবার আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দিরাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
প্রসঙ্গত, গত ১ এপ্রিল রাতে দিরাই উপজেলার মঙ্গলপুর বিলের থেকে মস্তকবিহীন খন্ড-বিখন্ড লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন সকালে এলাকার একটি পুকুর পাড় থেকে লাশের ক্ষতবিক্ষত মাথা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত লাশ গলে যাওয়ায় তার পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। তবে, পুলিশ ও স্থানীয়রা ধারণা করছিলেন লাশ মঙ্গলপুর গ্রামের নিখোঁজ দুদু মিয়ার। উদ্ধারকৃত লাশের পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখে সন্তানরা দুদু মিয়ার লাশ বলে শনাক্ত করেন।