বিশেষ প্রতিবেদক।।
সিলেটে গিয়াস উদ্দিন পাটুয়ারী নামের এক জনের পাসপোর্ট করা হয়,
মুটো অংন্কে টাকার বিনিময়ে এ পাসপোর্ট বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সরকারি কর্মদিবসেও বন্ধ অফিসের প্রধান ফটক খুলে। দালাল ছাড়া ভেতরে প্রবেশ করা যায় না।
পুলিশ ভেরিফিকেশন, জন্মনিবন্ধন সনদ আর সত্যায়িত করার সিল সবই আছে দালালের কাছে দরকার শুধু টাকা।
নিজে না গিয়েও পকেটভর্তি টাকা দিলেই হলো, আপনার পাসপোর্ট প্রস্তুত। কিন্তু নিয়মানুসারে আবেদন করে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও পাওয়া যায় না পাসপোর্ট।
সিলেটের দক্ষিন সুরমা আলমপুুর
বিভাগীয় পাসপোর্ট ও ভিসা অফিসের প্রতিদিনকার চিত্র এটি। শুক্রবার ছুটির দিনেও কাজ চলছে সিলেট বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে।
এদিন সেখানে গিয়ে দেখা গেছে, স্বাভাবিক কর্মদিবসগুলোর মতোই অনিয়ম-দুর্নীতির চিত্র। দারোয়ান-দালাল-কর্মকর্তাদের যোগসাজশে অনিয়মও চলছিল অন্যদিনগুলোর মতোই।
সিলেটের পাসপোর্ট অফিসটির সামনে প্রায় সব সময়ই শ’খানেক মানুষের জটলা লেগে থাকে। প্রবাসী অধ্যুষিত সিলেটে পাসর্পোট অফিসে দালালদের ব্যবসাও তাই রমরমা! আবাসিক এলাকায় অফিস হওয়ায় আশেপাশের বাসিন্দারাও এতোদিনে জেনে গেছেন এখানকার কাজ আর দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা।
বিদেশে যাওয়ার জন্য ভুয়া ঠিকানা দিয়ে পাসপোর্ট করাতে গিয়ে প্রায়ই ধরা পড়ছে । আটক হওয়ার পর এসব ভুয়া জাল ঠিকানা পাসপোর্টধারীরা জানান, টাকা দিলে দালালরাই ভুয়া জন্মসনদ ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বানিয়ে তা দিয়ে আবার পাসপোর্ট তৈরি করিয়ে দেয়। এ তথ্য যাচাই করতে গিয়ে পাওয়া গেছে আরও চমকপ্রদ তথ্য। ভুয়া ঠিকানা পাসপোর্টকারীরা যা বলেছেন সে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে পাসপোর্ট অফিস বলছে, ভেরিফিকেশনের সময় পুলিশ সতর্ক থাকলে এভাবে পাসপোর্ট তৈরি বন্ধ হয়ে যাবে। এদিকে, সতর্কতার সঙ্গে ভেরিফিকেশন করা হয় দাবি করে পুলিশ বলছে, নাম ঠিকানা পাসপোর্ট তৈরির পেছনে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের কর্মকর্তারাই বেশি দায়ী। এ ব্যাপারে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় জানায়, জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার বেলায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা যত্নশীল হলে ভুয়া জাল ঠিকানা জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করারই সুযোগ পায় না। একইসঙ্গে নির্বাচন কমিশন কার্যালয় জানায়, কাগজপত্রে না থাকলেও তাদের সার্ভারে ভুয়া এনআইডি’র তথ্য পাওয়া গেছে। তবে এগুলো কীভাবে সার্ভারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে, তারা কিছু জানেন না।
সিলেট পাসপোর্ট অফিসের তথ্য সুত্রে জানা যায়,গিয়াস উদ্দিন পাটুয়ারী নামের এক জনের পাসপোর্ট করা হয়,যার ঠিকানা, গিয়াস উদ্দিন পাটুয়ারী পিতা আব্দুর রশিদ পাটুয়ারী মাতা তাহেরা বেগম,স্ত্রী শিরিন জাহান,সাং ডালা আতাকারা রামগন্জ লক্ষীপুর। এই ঠিকানায় সিলেট পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট জমার তারিখে জিরো জিরো দেখানো হয়,আর কালেকশনের তারিখ ৩০অক্টোবর ২০১৯।সুত্রে বলে এর আগে আরো একেই পরিবারের দুটি পাসপোর্ট ৮ লক্ষ টাকার বিনিময়ে করা হয়।
বর্তমানে গিয়াস উদ্দিন নামের পাসপোর্ট টি সিলেট পাসপোর্ট অফিসে আটকানো রয়েছে।স্হানীয় দালাল সিন্ডিকেট তদবির চালাচ্ছেন মুটো অংন্কে টাকার বিনিময়ে। চলবে,,,,,,,।