বিশেষ প্রতিবেদক।।
সিলেট গোলাপগন্জ থানার ভাদেশ্বর নালিউরি গ্রামের উনু বাহিনীর সনত্রাসী হামলায় একিই পরিবারের ৩ জন আহত হয়েছেন।
জানাযায়,গ্রামের চলাচলের রাস্তায় পানি নিস্কাশন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করায় একেই গ্রামের হাসান রাস্তায় জমে থাকা পানি নিস্কাশনের ব্যবস্তা করতে গেলে গ্রামের উনু মিয়া এসে বাধা দেন। এতে উনু মিয়া ও হাসানের মধ্যে কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয়।জনসাধারণের রাস্তায় পানি নিস্কাশনের জেরধরে উনু মিয়া ও তার ছেলে সেবুল,রুমান ফয়জুর ও তার মেয়ে রীনা হাসানের দোকানে দেশিও অস্র শস্র নিয়ে হাসানকে আক্রমণ করে দা দিয়ে কুপ দিয়ে মাথায় মারাত্মক জখম করে আহত করে। শুর চিৎকার শুনে ছেলেকে উদ্ধার করতে হাসানের বাবা ইলিয়াস আলী এগিয়ে এলে উনু বাহিনীর হাতে তিনিও লান্চিত হন। হাসানে ছোট ভাই আবুল হাছিম তার বাবা ও বড় ভাই হাসান কে উদ্ধার করতে এগিয়ে এলে আবুল হাছিমও হামলার শিকার হন।
জানা যায় উনু মিয়ার লোকজন দোকানে জোর পূর্বক প্রবেশ করে নগদ বিশ হাজার টাকা ও সিম কার্ড নিয়ে যায়। পরে এলাকার স্হানীয় জনতা হাসান কে উদ্ধার করে আশংকা জনক অবস্থায় গোলাপগন্জ সাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন এবং হাসানের অবস্হা আশংকা থাকায় তাকে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তার মাথায় ১৫ -১৬ টি সেলাই লাগে।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায় দীর্ঘ দিন যাবৎ গ্রামের রাস্তা নিয়ে উনু মিয়ার সাথে বিরোধ চলে আসছে এলাকার জনসাধারণের রাস্তা সংস্কারের কোন উদ্দোগ নিলেই উনু মিয়া বাধা সৃষ্টি করে থাকেন। উনু মিয়ার ভয়ে আশপাশের লোকজন উনু মিয়ার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নারাজ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি বলেন উনু মিয়ার ছেলেরা সমাজ বিরোধী বিভিন্ন কর্মকান্ডে জড়িত। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় নালিউরি গ্রামের কথিত কয়েক জন শালিস মুরব্বি আপোষ মিমাংসা মেনে নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করে একটি শালিস নামা তৈরি করেন। অবশেষে হাসানের অবস্থা অবনতি হওয়ায় হাসানের বাবা ইলিয়াস আলী আপোষ মিমাংসা মেনে নিতে অসম্মতি জানান। হাসানের বাবা আরও জানান থানায় মামলা দিতে গিয়েও আমরা হয়রানীর স্বীকার হয়েছি।