রুবেল আহম্মদ মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
শ্রীমঙ্গলে মোঃ আব্দুল তোয়াহিদ আকাশ নামে এক ব্যক্তি তার ছোট ভাইয়ের বিরুদ্ধে ঘর বুঝিয়ে দেওয়ার নামে নগদ টাকা আত্মসাৎ, বাড়িতে নির্মাণাধীন ঘর ভাঙ্গা, প্রাণনাশের হুমকি সহ নানান অভিযোগ এনে শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে।
শুক্রবার (১৮ মার্চ) দুপুরে উপজেলার ৩নং সদর ইউনিয়ন এর পশ্চিম শ্রীমঙ্গল এলাকার বাসিন্দা মোঃ আব্দুল তোয়াহিদ আকাশ শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাবে লিখিত বক্তব্যে বলেন, জয়নাল আবেদিন রাব্বিল সম্পর্কে আমার ছোট ভাই। জয়নাল আবেদিন রাব্বিল একজন মাদক ও গাজা ব্যবসায়ী। জুয়া খেলা তার পেশা। সে বিগত ২০২০ সালের ৯ জুন উপজেলার উত্তর উত্তরসুর এলাকার আঃ হাসিম মঙ্গল এর অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়ে আলবিনাকে বাগাইয়া বিয়ে করে। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর আলবিনা রাব্বিলকে মাদক সেবন ও ব্যবসা করা এবং জুয়া খেলার কারনে কোর্ট এর মাধ্যমে তালাক দেন।
আব্দুল তোয়াহিদ আকাশ আরও বলেন, গত বছরের ২ জুন রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের স্লেতাগুঞ্জা গ্রামের সুহেল মেম্বারের বাড়িতে রাব্বিলকে গাজা ব্যবসার কারনে স্থানীয় জনসাধারণ আটক করে। পরে এলাকার মোঃ সাহিদ মিয়া ও জহিরুল ইসলাম শামিমের অনুরোধে আমি রাব্বিলকে রাজনগর থেকে উদ্ধার করে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসা করাইয়া বাড়িতেনিয়ে আসি।
তিনি বলেন, রাব্বিল গত ৩ মার্চে ব্যাটারী চালিত টমটম নিয়ে অবৈধ ভাবে শ্রীমঙ্গল শহরে প্রবেশ করে। তখন পুলিশ তাকে বাধা প্রদান করলে সে কর্তব্যরত পুলিশের সাথে অশালীন ভাষায় ব্যবহার করে। পরে পুলিশ তাকে আটক করলে, জহিরুল ইসলাম সামিমের মাধ্যমে থানায় মুচলেকা দিয়ে ছুটে আসে।
এছাড়াও রাব্বিলকে তার স্ত্রী আলাবিনা তালাক দেওয়ায় পর রাব্বিল আলবিনার বাবা মঙ্গলকে প্রানে হত্যার জন্য সাহিদ মিয়ার বাড়ীর পুকুরের ভাঙ্গলে রাতের আধারে নিয়ে যায়। তখন মঙ্গল চিৎকার করলে সাহিদ মিয়া ও তার ছেলে হাসান এসে তাকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় মঙ্গলকে শ্রীমঙ্গল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করানোর পর মঙ্গল রাব্বিলের উপর ৩০৭ ধারায় মামলা করে। যাহা মৌলভীবাজার কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
আব্দুল তোয়াহিদ বলেন, জয়নাল আবেদিন রাব্বিল গতবছরের ১৪ মার্চ স্টাম্পের মাধ্যমে স্বাক্ষীগনের সম্মুখে নগদ ১ লক্ষ ৬০টাকা আমার নিকট থেকে নেয়। এই বলে যে, পৈত্রিক সম্পত্তির ৪৩৩৪ নং দাগের একটি টিনসেট পাকা ঘর আমাকে দখল দিবে বলে। কিন্তু ২৭ (সাতাইশ) দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আমাকে ঘর দিবে না বলে জানায়। এ বিষয়ে স্থানীয়ভাবে স্টাম্পে স্বাক্ষীগনের মাধ্যমে সালিশ বিচারে বিগত ১৬/১২/২০২১ইং তারিখে আমার টাকা ফিরত দিবে নতুবা ঘর দিবে এই মর্মে চুক্তি হয়। চুক্তি মোতাবেক রাব্বিল টাকা ফিরত না দেওয়ায় স্থানীয় ৩নং শ্রীমঙ্গল ইউনিয়নের সম্মাণিত চেয়ারম্যান দুদু মিয়ার উপস্থিতে পর পর তিন দিন আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে সালিশ বিচারের ২ ফুট পুকুরে যাবার রাস্তা রেখে আমাকে
বাড়ীর পশ্চিমের ভিঠায় ঘর বানানোর জন্য দেওয়া হয়।
আমি যতারীতি ঘর ভিট পর্যন্ত করার পর আমার আরেক ভাই জহিরুল ইসলাম শামিম তার নেতৃত্বে রাব্বিল আমাকে ঘর বানাতে বাধা দেওয়ায় ও আচরন খারাপ করায় আমি শ্রীমঙ্গল থানায় মামলা কারি। মামলা নং: জি. আর ৬৮/২২ইং শ্রীঃ, ধারা: ৪০৬/৪২০, পেনাল কোড-১৮৬০। মামলার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আনোয়ারুল ইসলাম পাঠান।
এই মামলার ব্যাপারে এসআই আনোয়ারুল ইসলাম পাঠান আমার কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেন নাই। তিনি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে সঠিক তদন্ত করায় রাব্বিল ওনার বিরুদ্ধেও সম্পূর্ণ অন্যায় ভাবে মিথ্যা অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট।