রুবেল আহম্মদ,মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
মৌলবাজারের শ্রীমঙ্গলে থানার পাশে ছুরিকাঘাতে এক যুবক আহত হয়েছে। তাকে আশংকাজনক ভাবে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ৪ জনকে আটক করেছে। আহত যুবক হল উপজেলার লাংলিয়াছড়া আনারস বাগান এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে আরাফাত হোসেন (৩৫)। এ ব্যাপারে শ্রীমঙ্গল থানার ওসি সাংবাদিকদের প্রেসব্রিফিং করেন।
প্রেসব্রিফিং-এ ওসি মো.শামীম অর রশীদ তালুকদার জানান,মঙ্গলরবার দুপুর প্রায় ১ টার সময় ভিকটিম আরাফাত হোসেন ও সঙ্গীয় ডালিম নামে এক যুবক মটরসাইকেল যোগে থানার পাশে জামে মসজিদ এর গলির দিকে যাচ্ছিলেন। এমন সময় আব্দুর রউফ (৪২),বেলাল মিয়া (৩০),মো.বিল্লাল (৩২) ও রুমন মিয়া (৩৫) আরাফাতের মটরসাইকেল এর গতি রোধ করে তাকে চাকু দিয়ে পিঠে উপর্যুপুরি ছুরিকাঘাত করে মাটিতে ফেলে দেয়। এমন সময় থানা থেকে তিনি ভিকটিমের হাল্লা চিৎকার শোনে ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রথমে সিএনজি অটোরিক্সা যোগে ভিকটিমকে উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
পরে আসামীদের পেছনে দাওয়া করে উল্লেখিত চারজন আসামীকে ধরতে সক্ষম হন। ভিকটিমের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে ওসি জানান। আসামীরা উপজেলা উত্তর উত্তরসুর এলাকার মহব্বত আলীর ছেলে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই জামাল হোসেন উল্লেখিত চার আসামীসহ আরও দুই জনকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করছেন।
এ ব্যাপারে আসামীদের মামা মীর মো.রাজা মিয়া জানান,উপজেলার লাংলিয়া ছড়া এলাকায় জমিসংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গত সোমবার ভিকটিম আরাফাতসহ আরও তাদের লোকজন আসামীদের বড় ভাই হেলাল মিয়াকে মারপিট করে।
এ ঘটনায় গতকাল রাতেই আরাফাতসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় বলে তিনি জানান। অদ্য বুধবার সকালে হেলাল মিয়া লাংলিয়া ছড়া তার লেবু বাগানে গেলে আরাফাতের ভাই জামাল,পিতা সহ অন্যান্যরা হেলাল মিয়াকে আটক করে রাখেন বলে জানান।