সোমবার সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পুলিশ লাইনে স্থাপিত টিকাদান কেন্দ্রে দেখা যায় এমন চিত্র। টিকা নিতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগের তুলনায় টিকা গ্রহণে আগ্রহীর সংখ্যা বাড়ছে। মানুষের মনে যে শঙ্কা ছিল তা দূর হয়ে গেছে। এদিকে সরকার বয়স সীমা ৩০ করার পর মানুষের মধ্যে আরও আগ্রহ বেড়েছে। এছাড়া আগের রেজিষ্ট্রেশন করে যারা টিকা পাননি তারাও এসেছেন টিকা নিতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রোববার ওসমানীতে ৮টি বুথ ও পুলিশ লাইনস হাসপাতালের ২টি বুথের মাধ্যমে সিটি করপোরেশন এলাকার ২ হাজার ১৭২ জনকে দেয়া হয় করোনা প্রতিরোধী টিকা। গতকাল সোমবার ৬০০ জনকে টিকা গ্রহণের জন্য মেসেজ দিলেও ১ হাজার জনের জন্য টিকার ব্যবস্থা করেন কর্তৃপক্ষ। তবে যা দুপুর ১২টার আগেই শেষ হয়ে যায়। পরে ভীড়ের কারণে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটিতে বুথের সংখ্যা বাড়িয়ে দুপুরে ফের শুরু হয় টিকা দান কার্যক্রম। তারপরও ভীড় সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল সংশ্লিষ্টদের।
এদিকে, দিনের শেষে নগরের দুই কেন্দ্রে মোট ১৪০০ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন বলে সিসিক সূত্র জানিয়েছে। এরমাঝে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৮০ জন নিয়েছেন প্রথম ডোজ টিকা। এরমধ্যে ৪৬৪ জন রয়েছেন পুরুষ ও মহিলা ৩১৩ জন। তারা সবাই নিয়েছেন আমেরিকার তৈরি মডার্নার টিকা। একই হাসপাতালে সোমবার করোনার দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছেন সিনোফার্মের ৩৭০ জন। তন্মধ্যে পুরুষ ১৮৪ জন ও মহিলা ১৮৬ জন রয়েছেন।
এছাড়া পুলিশ লাইন্স হাসপাতালে করোনার প্রথম ডোজ টিকা (মডার্না ) নিয়েছেন ২৫০ জন। এরমধ্যে ১৯৬ জন পুরুষ ও ৫৪ জন মহিলা।
এ ব্যাপারে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, নিবন্ধন করে ম্যাসেজ নিয়ে নির্দিষ্ট দিনে টিকা কেন্দ্রে এলে ভীড় কম হবে। অনেক নিবন্ধনকারী ম্যাসেজ না পেয়েও কেন্দ্রে ভীড় করছেন। এছাড়া অনেকে নির্দিষ্ট দিনে না এসে পরে আসছেন। প্রতিদিন ৬০০ জনকে ম্যাসেজ দেওয়া হলেও কেন্দ্রে টিকা গ্রহীতার সংখ্যা থাকছে হাজারের উপরে। এভাবে কেন্দ্রে ভীড় না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় করোনা প্রতিরোধী টিকার পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০ বছরের বেশি সকল নাগরিক করোনাভাইরাস প্রতিরোধে টিকা নিতে পারবেন।