এম,এ,রউফ ।।
রাজনীতির তৃণমূল থেকে এই পর্যায়ে উঠে আসা জাতীয় নেতা । দেশরত্ন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী বারবার দলের সাংগঠনিক সম্পাদক যা- কে করেছেন। সিলেটের রাজনৈতিক
ব্যক্তিত্ব মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ।
দুর্দান্তভাবে ‘হ্যাটট্রিক’ করেছিলেন তিনি। সময় ছিল নিজেকে আরো এগিয়ে নেওয়ার, নিজের পারফরম্যান্সকে শাণিত রেখে ‘ব্যাটিংয়ে’ টপ অর্ডারে জায়গা করে নেওয়ার। রাজনীতিকে যদি ক্রিকেটের সাথে তুলনা করা হয়, তবে এভাবেই ব্যাখ্যা করা যায় এডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের ক্যারিয়ারকে।মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ সিলেটে রাজনৈতিক অঙ্গনের এক আর্দশ ব্যক্তিত্ব।
আওয়ামী লীগের টানা তিনবারের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। সেখান থেকে এবার আরো উপরের পদের প্রত্যাশায় ছিলেন তার অনুসারীরা। কিন্তু প্রত্যাশার সাথে ঘটেনি প্রাপ্তির মেলবন্ধন; পদোন্নতি পাননি মিসবাহউদ্দিন সিরাজ। তবে তাহার অনুসারীদের প্রত্যাশা আজ হউক কাল হউক তিনি উপরের সিঁড়িতে জায়গা পাবেন। দেশরত্ন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রীর আস্তাবাজন এই ত্যাগী নেতার মুল্যায়ন সব সময় আছে থাকবে। কারণ রাজনীতির তৃণমূল থেকে এই পর্যায়ে উঠে আসা মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার অনেক বড় মাপের।
জানা গেছে, ৭০’র দশক থেকে আওয়ামী ঘরানার রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছেন মিসবাহ সিরাজ। ওই সময়ে মদন মোহন কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৮১ সালে বৃহত্তর সিলেটের ৪ জেলা নিয়ে গঠিত সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৮৩ সালে হন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্বাহী সদস্যও ছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে আওয়ামী লীগের সাথে জড়ান মিসবাহ সিরাজ। ২০০২ সালে তিনি সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের প্রথম সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০৮ সাল পর্যন্ত দুই দফায় তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।
তথ্যানুসারে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ১৮তম জাতীয় সম্মেলনে চমক হিসেবে আবির্ভূত হন মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। তাকে দলটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়। এরপর ২০১২ সালে ১৯তম জাতীয় সম্মেলন এবং ২০১৬ সালে ২০তম জাতীয় সম্মেলনেও একই পদে দায়িত্ব পেয়ে ‘হ্যাটট্রিক’ হয় মিসবাহ সিরাজ ছিলেন সফলতার হিমালয়ের চুড়ায়।
জানা গেছে, গেল ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ সম্মেলনের মাধ্যমে সাংগঠনিক সম্পাদক থেকে আরো বড় কোনো পদে চোখ ছিল মিসবাহ উদ্দিন সিরাজের। তার অনুসারীরাও এমন প্রত্যাশায় ছিলেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার পর হতাশ হয়েছেন মিসবাহ সিরাজের অনুসারীরা। এবার পদোন্নতি হয়নি তার; বরঞ্চ সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে তাকে। ফলে মিসবাহ এখন আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে পদশূন্য হয়ে পড়েছেন।
মিসবাহ সিরাজকে কেন সরিয়ে দেওয়া হলো, কেনই-বা নতুন কোনো পদে তাকে রাখা হয়নি, এ নিয়ে সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে নানা কানাঘুষা। তবে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তে ‘নিশ্চয়ই কোনো যুক্তি আছে’ ভেবে এ বিষয়ে নীরব সবাই। অবশ্য মিসবাহ সিরাজের অনুসারীরা এখনই চূড়ান্ত হতাশায় ডুবে যেতে রাজি নন। তারা মনে করছেন,
মিসবাহকে কেন্দ্রে পদ না দেওয়ার পেছনে শেখ হাসিনার অন্য কোনো পরিকল্পনাও থাকতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই। তারা মনে করছেন, সাবেক সিলেটে সাবপাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি, সরকারি কৌঁসুলি) মিসবাহ সিরাজকে নিকট ভবিষ্যতে সরকারের আইন সংক্রান্ত কোনো শাখায় দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। রাজনীতিতে উত্থান-পতন থাকবেই। এডভোকেট মিসবাহ্ উদ্দীন সিরাজ রাজনৈতিক অঙ্গনে সিলেটের ডায়মন্ড। তিনির জীবনের অনেক সময় কেটেছে কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্টে, কারন তিনি একজন মুজিব আদর্শের সৈনিক, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে কখনো আদর্শচ্যুত হননি, মুজিব আদর্শ বুকে লালন করে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অবিচল থেকে ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতৃত্ব দিয়ে দুঃসময়ে আওয়ামীলীগ এবং দেশ ও মানুষের কল্যাণে আজীবন কাজ করে যাওয়ার অঙ্গীকারবদ্ধ। সময়ে সব কথা বলবে অপেক্ষায়,,,,।