সিলেটে এস এ পরিবহনের কাভার্ড ভ্যানে ডাকাতি মামলার মূল আসামী গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২৩ আগস্ট ২০২৫ তারিখ রাত আনুমানিক ১১টা ২০ মিনিটে এস এ পরিবহন পার্সেল অ্যান্ড কুরিয়ার সার্ভিসের নাইওরপুল, সিলেট শাখা থেকে একটি কাভার্ড ভ্যান ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ভ্যানে থাকা সুপারভাইজার ও ড্রাইভার রাত ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সিলেটের ওসমানীনগর থানাধীন তাজপুর এলাকায় ঢাকা–সিলেট মহাসড়কে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাদের গতিরোধ করে।
দুই পাশে থাকা দুটি মোটরসাইকেলে ছয়জন ও একটি পিকআপে চারজন মিলে গাড়িটিকে থামানোর সংকেত দেয়। ড্রাইভার কাভার্ড ভ্যান থামালেও দরজা না খোলায় তারা জোরপূর্বক কাঁচ ভাঙার চেষ্টা করে। আতঙ্কিত হয়ে দরজা খুলে দিলে চারজন ডাকাত ভেতরে প্রবেশ করে সুপারভাইজারকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মারধর করে এবং গাড়ি থেকে নামিয়ে নেয়।
পরবর্তীতে ডাকাতরা সুপারভাইজারকে তাদের পিকআপে তুলে নিয়ে তার মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। অপরদিকে ড্রাইভারের পেটে ছুরি ঠেকিয়ে তাকে কাভার্ড ভ্যানসহ মঙ্গলচণ্ডী রোডে প্রায় ১ কিলোমিটার দূরে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে ১৫-১৬ জন ডাকাত ভ্যানে থাকা মালামাল লুট করে নেয়। চাবি না দেওয়ায় সুপারভাইজার ও ড্রাইভারকে বেধড়ক মারধর করে, পরে পিস্তল ঠেকিয়ে তালা খুলে কাভার্ড ভ্যানের মালামাল তাদের পিকআপে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এই ঘটনায় ভিকটিম সুপারভাইজার বাদী হয়ে ওসমানীনগর থানায় অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং–০৮, তারিখ: ২৪/০৮/২০২৫, ধারা: ৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড ১৮৬০)।
এরপর র্যাব-৯ ঘটনার ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ধারাবাহিক গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ হিসেবে ১৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ বিকেল ৪টা ৫ মিনিটে এসএমপি সিলেটের দক্ষিণ সুরমা থানাধীন ভার্থখলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার ১ নম্বর পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত আসামির নামঃ
দেওয়ান হৃদয় (২৫)
পিতা – মোফাজ্জল হোসেন
সাং – বালুরচর, থানা – মতলব, জেলা – চাঁদপুর।
র্যাব-৯ জানায়, গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। আসামিকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
সূত্র: র্যাব-৯, সিপিএসসি, সিলেট