শ্রীমঙ্গল উপজেলার পূর্ব -শ্রীমঙ্গল এলাকায় মোবাইলে মাত্র দু দিনের পরিচয়ে প্রেম অতপর প্রেমের বিয়েতে পিতা রাজি না হওয়ায় মায়ের পরামর্শে মেয়ে বিষ পান করে পিতাকে জীবনের মত শিক্ষাদিতে বিষ পান করে প্রেমিকা। এ ঘটনায় পূর্ব শ্রীমঙ্গল এলাকায় বেশ অচাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
খবর নিয়ে জানা যায়,পূর্ব- শ্রীমঙ্গল এলাকার রোকন মিয়ার বড় মেয়ে মনাইউল্লাহ স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্রী রোমানা আক্তার ১৬ মোবাইল ফোনে পারদর্শী প্রেমখেলায়। ইতোমধ্যে পল্লীবিদ্যূতের শ্রমিক, সিএনজি ড্রাইভার, প্রবাসী সহ অনেকের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে ইমোতে বিভিন্ন নামে আইডি কোলে
প্রেম খেলায় মেতে উঠে। কৌশলে হাতিয়ে নেয় এসব প্রেম পাগল প্রেমিকদের কাছ থেকে হাজার হাজার টাকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মোলভীবাজারের কুয়েত প্রবাসীর কাছ থেকে দামী মোবাইল সহ অনেক টাকা হাতিয়ে নেয় প্রেম পিয়াসী রোমানা। কুয়েত প্রবাসীর সাথে যখন প্রেমে হাবুডাবু খাচ্ছে রোমানা ঠিক তখনই প্রবাসীর মামাতো ভাই প্রেমিকা রোমানাকে হাতেনাতে ধরতে সুন্দরী রোমানার ইমোতে সারা দিয়ে প্রেমের ঝালে বন্দি করে সচতুর ট্রাভেলস ব্যাবসায়ী। ধুমধাম খরছ আর বেসামাল টাকার হিসাব বাড়ী গাড়ী মার্কেটিং সহ জীবনমান পাল্টিয়ে দেয়ার মত লোভ দেখালে প্রেমিকা রোমানা মমের মত গলে ফাঁদ পাথানো ট্রাভেল ব্যাবসায়ীর প্রেমে হাবুডাবু খাচ্ছে। মাত্র দু দিনের পরিচয়ে প্রেমিকার নামে পুকুরের জমি কিনে দেয়ার দর দাম পাকাপোক্ত হয় ঐ দিনই একটি গরু প্রেমিকার বাবা মাকে কিনে দেয়া হয় মার্কেটিংয়ের জন্য আরো দশ হাজার টাকা দেয়া হয়। হবু শশুড়কে মোবাইল ও প্রেমিকাকে দামী একটি টাচ মোবাইল গিফট করা হয়। এমন জামাই পেয়ে প্রেমিকা ও তার মা নানী বাবা খুশীতে আত্মহারা। তবে পিতার রয়েছে দ্বিমত এখনই বিয়ে নয় জামাই বাবাজী আসা যাওয়া করবে আমাদের দেখবাল করবে। হবু জামাইকে প্রস্তাব দেয়া হয় একটি সিএনজি কিনে দেয়াজন্য প্রেমিকার বাবাকে এতেও জসমাই রাজি। কিন্তু বিপত্তি বাঁধে ১৭ই আগস্ট বিকাল বেলা প্রেমিক- প্রেমিকা ও প্রেমিকার মামী শহরে মার্কেটিং সহ নোয়াখালিপারা সহ বিভিন্ন এলাকায় বেড়ানোর পর প্রেমিকা বিয়েতে এক পায়ে রাজি এমন বড়লোক টাকাওয়ালা জামাইর সাথে বিয়ে হতেই হবে আর দেরী হলে জামাই প্রেমিকার বহুপ্রেমখেলা ও পিতার দুর্নাম সব জানলে বিয়েতে বিপত্তি বাঁধতে পারে । তাই ঐ দিনই প্রেমিকা রোমানা বিয়ের কথাবার্তা মাকে নিয়ে পাকাপোক্ত করে। পিতা এমন অল্পসময়ের পরিচয়ে বিয়েতে বাধাঁ দেয়ার কারনে মেয়ে বিষ পান করে। এসময় প্রেমিকার মা ও নানী প্রেমিকার পিতার উপর ক্ষেঁপে উঠে কেন মেয়েকে বিয়েতে বাঁধা দেয়া হলো তাই মজা দেখাতে ইঁদুরের বিষ মেয়ের মুখের উপড় মাখিয়ে মিত্যা বিষ পান নাটক তৈরী করে। মেয়ের বিষপানে পিতারুকন ভয় পেয়ে তরিৎ গতিতে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার কোন ধরনের বিষ পান করেনাইবলে জানায়। এমন ঘটনায় এলাকায় জনমনে বেশ অচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।