সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারে মিলেনিয়াম মার্কেটের লিফটে এক ব্যক্তি প্রায় ২০ মিনিট আটকা পড়ছিলেন। বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর মার্কেটের জেনারেটর চালু হওয়ার পরও ওকই লিফট চালু হয়নি। এতে আতঙ্কিত ও ভীতসন্ত্রস্থ হয়ে পড়েন জুনেদ আহমদ চৌধুরী নামের এক ব্যক্তি। আজ বেলা সোয়া ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।জ
জানা গেছে, সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার মুন্সিবাজারের বাসিন্দা ও বর্তমানে নগরীর মেন্দিবাগ এলাকায় বসবাসরত জুনেদ আহমদ চৌধুরী সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ব্যক্তিগত কাজে জিন্দাবাজারের মিলেনিয়াম মার্কেটে (৭ম তলা) যান। কাজ শেষে তিনি নিচে নামার জন্য লিফটে উঠেন। লিফট তৃতীয় তলায় নামার পর বিদ্যুৎ চলে যায়। সাথে সাথেই জেনারেটর চালু হয়। কিন্তু ওই লিফট তখন চালু হয়নি। লিফটের বিভিন্ন বাটনে ক্লিক করলেও বাটনগুলো কাজ করেনি। এমনকি লিফটের ভেতরে ইমারজেন্সি এলার্মও কাজ করছিলো না। এসময় চরম আতঙ্কিত ও ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন জুনেদ আহমদ নামের ব্যক্তি। এসময় ওই মার্কেটে অবস্থানরত তার পরিচিত একজনকে ফোন করলে তিনি লিফটের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে বিষয়টি জানান। ততক্ষণে জুনেদের অবস্থা হয়েছিল একেবারে নাজেহাল।
তখন দায়িত্বরত ব্যক্তি লিফটের মধ্যে থাকা জরুরী মাইক্রোফোনে কথা বলেন জুনেদ আহমদ চৌধুরীর সাথে। জানতে চাওয়া হয় কয় তলায় লিফট আটকা পড়ে আছে। প্রতিউত্তর পেয়ে লিফট চালু করা হয়। তখন লিফট নিচের দিকে না গিয়ে উঠে যায় ৮ম তলায়। আবার সেখানে আটকা পড়ে। লিফটের ভেতরে আটকা পড়া ব্যক্তি তখন বিভিন্ন বাটনে ক্লিক করার পর আবারো কাজ করছিলো না। এতে তিনি আবার ফোন দেন মার্কেটে থাকা পরিচিত ব্যক্তিকে। তিনি পূণরায় লিফট অপারেটরকে বিষয়টি জানান। অপারেটর এসে একপর্যায়ে লিফট ৫ তলায় নিয়ে এসে থামাতে সক্ষম হন। লিফট থামলেও তখন দরজা খুলছিল না। অনেক ঠেলাধাক্কার পর দরজা খুলে আটকে পড়া ব্যক্তিকে বের করা হয়।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, ওই মার্কেটে বিদ্যুৎ চলে গেলে জেনারেটর চালু হওয়ার পরও অনেক সময় লিফট সাথে সাথে চালু হয় না। এতে বিভিন্ন সময় মানুষ আটকা পড়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
লিফটে আটকা পড়া জুনেদ আহমদ চৌধুরী বলেন, এ এক বিভীষিকাময় মুহূর্ত। এই ২০ মিনিট সময়ে শারীরিক ও মানষিক যে অবস্থা তৈরি হয়েছিলো তা বলে শেষ করা যাবে না। তিনি নিজে উচ্চরক্তচাপের (হাই প্রেশার) ঔষধ সেবন করেন জানিয়ে সিলেটভিউকে বলেন, চিকিৎসকের স্মরনাপন্ন হচ্ছেন। এছাড়া তিনি ক্ষোভের সহিত বলেন, লিফটে জরুরি ফোন করার জন্য কোন নাম্বার ছিল না। যদি মার্কেটে নিজের পরিচিত কেউ না থাকতেন তাহলে হয়তো লিফটেই মারা যেতেন।
মিলেনিয়াম মার্কেটের ম্যানেজার পারভেজ আহমদ বলেন, আমরা বিষয়টি দেখছি। তবে এর আগে এ ধরণের ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।