গত শুক্রবার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে গৃহবধু ধর্ষনের ঘটনায় নির্যাতিতা নারীকে উদ্ধারে সর্ব প্রথম এগিয়ে আসেন জেলা যুবলীগ নেতা বাবলা চৌধুরী । ছাত্রাবাস এলাকায় বাবলা চৌধুরীর অবস্থান বুঝতে পেরে পালিয়ে যায় ধর্ষনকারীরা ।
বাবলা চৌধুরী জানান, শুক্রবার তিনি একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে ছিলেন । সেখান থেকে বাসায় ফিরে কাপড় চেঞ্জ করে শহরে অন্য একটি কাজের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন । এমসি কলেজ ছাত্রাবাসের সামনে আসা মাত্র দেখতে পান একজন লোক কান্নাকাটি করে এদিক ওদিক ছ’টোছুটি করছে । এই সময় সেই গৃহবধুর স্বামীর সাথে কথা বলে ঘটনার ভয়াবহতা জানতে পারেন । তখন স্থানীয় কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বাবলা চৌধরী ছাত্রাবাস এলাকায় প্রবেশ করে স্বচক্ষে ঘটনা দেখে হতবাক হয়ে পুলিশের সাথে কথা বলেন । এসময় তার উপস্থিতি ঠের পেয়ে অপরাধীরা পালিয়ে যায় ।
বাবলা চৌধুরী জানান, তিনি সেই ব্যক্তিকে তার নিজের মোটর সাইকেলে নিয়ে ধর্ষকদের খোজতে বিভিন্ন রাস্তায় ছুেেটন । কিন্ত তাদের না পেয়ে তিনি আবার তাকে নিয়ে ছাত্রাবাসে যান । সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে তারা সিএনজিতে তুলে ভিকটিম মহিলাকে ওসমানী হাসপাতালে পাঠান ।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা যুবলীগ নেতা বাবলা চৌধুরী জানান, এমন অমানবিক নিষ্ঠুর কাজ যারা করেছে এরা মানুষরুপি পশু । আমাদের সকলেরই মা বোন আছে । তবে এই চক্রটি প্রায়ই এমসি কলেজ এলাকায় ছিনতাই, ইয়াবা ব্যবসাও ইয়াবা সেবন কওে থাকে ।
এরা অনেক আগেই অপরাধ প্রবনতার সাথে জড়িত ।তিনি ইতিহাসের এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার অপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন ।