রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত এই অভিনেত্রী তার বক্তব্যে ‘ঘৃণা ছড়িয়ে’ টুইটারের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন বলে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
‘কুইন’ সিনেমার এই অভিনেত্রীর টুইটে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় না পাওয়ার হতাশা ফুটে উঠেছে বারবার।
সোমবার এক টুইটে তিনি তৃণমূল শাসিত পশ্চিমবঙ্গে তিনি রাষ্ট্রপতির শাসনের দাবি জানিয়েছিলেন। গত রোববার ঘোষিত নির্বাচনের ফলাফলে তৃণমূলের বিপুল বিজয়ের পর বিজেপি সমর্থক এই নায়িকা পশ্চিমবঙ্গকে কাশ্মিরের সঙ্গেও তুলনা করেন।
বলিউড তারকা কঙ্গনা রানাউত ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কট্টর সমর্থক হিসেবে পরিচিত
ওই পোস্টে তিনি ‘ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত’ দিয়েছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে পশ্চিমবঙ্গে। এক আইনজীবী এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশের কাছে ইতোমধ্যে অভিযোগ করেছেন বলেও খবর দিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
অভিযোগকারী আইনজীবী সুমিত চৌধুরী বলেছেন, “বাঙালি এবং বাংলার বিরুদ্ধে অপমানজনক মন্তব্য করেছেন কঙ্গনা রানাউত। বিজেপির পক্ষ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে অশান্তি ছড়াতে চাইছেন। বাংলার আইনশৃঙ্খলার ভারসাম্য করতে এনআরসি এবং সিএএ-র সমর্থনে কথা বলে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি।”
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে এক টুইটে তাকে ‘রাবণের’ সঙ্গেও তুলনা করেন কঙ্গনা।
তার অ্যাকাউন্ট বন্ধের সিদ্ধান্ত জানিয়ে টুইটার বলেছে, ক্ষতিকর প্রতিক্রিয়া হতে পারে- এমন আচরণের বিরুদ্ধে টুইটার সব সময়ই কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
“টুইটারের নিয়ম, বিশেষ করে আমাদের ‘হেইটফুল কনডাক্ট পলিসি’ এবং ‘অ্যাবিউসিভ বিহেভিয়ার পলিসি’ বার বার লঙ্ঘন করায় ওই অ্যাকাউন্টটি স্থায়ীভাবে স্থগিত করা হয়েছে।”
অ্যাকাউন্ট বন্ধ হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ৩৪ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী টুইটারের এ আচরণকে ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ আখ্যায়িত করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেছেন, “নিজস্ব শিল্প মাধ্যম সিনেমাসহ আমার বহু প্ল্যাটফর্ম আছে। প্রতিবাদ জানাতে আমি সেগুলোও ব্যবহার করতে পারি।”