দেশটিবি প্রতিবেদক::এ কেমন বর্বরতা এ কেমন ওমানবিকতা কানাইঘাট উপজেলার গাছবাড়ি বাজারে হিন্দু সম্প্রদায়ের জায়গা দখল করে মাছ বাজারের সেড তৈরী করে ১৫ জন নিরিহ মানুষের জীবন জীবিকার একমাত্র অবলম্বন দোকান ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন স্থানীয় ৮ নং ঝিংগাবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন ও পরগনা কিছু লোকজন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গাছবাড়ী বাজারের মধ্যখানে অবস্থিত বি,এস সূত্রে থাকা মালিক দয়কিশোর এর উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া এস এ মালিক মাধকরাম চন্দ এর ত্যাজ্যবিত্তে ফাইনাল জরিপে মালিক চন্দন চন্দ গংরা।গত মার্চ মাসে চেয়ারম্যান ও পরগনার কিছুলোক মিলে সংখ্যালঘু হিন্দু চন্দন চন্দ গংদের উত্তরাধিকারী সূত্রে পাওয়া জায়গার উপর মাছ বাজারের সেড তৈরী কাজ শুরু করেন।এতে বাঁধাদেন জায়গার মালিক।বাঁধা দেওয়ায় চেয়ারম্যানসহ এলাকায় কিছু লোক কিপ্ত হয়ে তাদের উপর চড়াও হন এমনকি সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন কে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেন।এতে সংখ্যালঘুরা নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নেন।
ভুমির মালিক পক্ষের একজন চন্দন চন্দ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজেস্টেই সিলেট একটি মামলা দায়ের করেন। তারা সংখ্যালঘু তাদের পৈত্রিক জায়গা দখল করে চেয়ারম্যানসহ পরগনার একটি চত্রু জোর দখল করে মাছ বাজারের সেড তৈরী করে চিরদিনের জন্য তাঁদের ভুমিদখল করে আত্মসাধের পায়তারা করছেন। এমন অভিযোগ চন্দন চন্দ গংদের।
আদালতে মামলা হওয়ার পর চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিনের নেতৃত্বে পরগনা একটি চত্রু উত্তেজিত হয়ে চন্দন চন্দ গংদের এলাকাছাড়ার ঘোষণা দেন।
গাছবাড়ী দক্ষিণ বাজারে মসজিদে বসে সংখ্যালঘুদের ডেকে এনে মামলা তুলে আনার ২৪ঘন্টা সময় দেওয়া হয়।তারা আরও বলে সংখ্যালঘুরা যদি চেয়ারম্যান এর উপর থেকে মামলা তুলে না নেয় তাহলে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হবে। তারা আইন পাসকরেন যে কেউ বাজারে তাদের দোকান থেকে বাজার করলে ২হাজার টাকা জরিমানা করা হবে ও একঘরি করে দেওয়া হবে। এতে নিরুপায় হয়ে সংখ্যালঘুরা মামলা তুলে নিবে মর্মে মৌখিক ভাবে বলেন।এর পর থেকে আর কিপ্ত হয়ে উঠেন চেয়ারম্যান ও তারা সহযোগীরা।গত ৫ জুন সংখ্যালঘুদের জায়গার উপর দোকান বন্ধ করে দোকানের সামনে দেওয়ালের কাজ শুরু করেন।
এতে বাঁধা দেন নিরীহ দোকান মালিকগন।দোকান মালিকগন বাঁধা দিলে তাদের দোকান ভেঙে ফেলা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়।
সর্বশেযে মালিকপক্ষ কানাইঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়গাটির খুজখবর নিয়ে স্থানীয় ভুমি অফিসার কে প্রতিবেদন দেওয়ার আদেশ করেন।
তাপশীলদার হাছনুল আলম সরজমিনে পরিদর্শন করে জায়গা মালিক চন্দন চন্দ গংদের একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। প্রতিবেদন পাওয়ার পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বারিউল করিম খান পরের দিন এসিল্যান্ড অফিসে কর্মরত সার্ভেয়ারকে মালিক পক্ষের জায়গা পরিমাপের জন্য স্থানীয় গাছ বাড়ী বাজার জরিপের জন্য পাঠান।নির্ধারীত সময়ে সার্ভেয়ার এসে গাছবাড়ী ইউনিয়নের ভুমি সহকারী কর্মকতা হাছনুল আলমকে সাথে নিয়ে মাপ জোখ শুরু করলেও তাদের কে মাপ -জুক করতে দেননি চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন ও তার সহযোগীরা।এরপর আবারও জমির মালিক ও দোকান মালিক পক্ষ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে গেলে তিনি আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেন।
সংখ্যালঘু চন্দন চন্দ গংরা আজ নিবৃত্তে কাঁদছে ক্ষমতা আর শক্তি জবর দখলের আগ্রাসনের কবলে পড়ে দিশাহারা।
এবিষয় জমির মালিক চন্দন চন্দ বলেন আমি জমির উত্তরাধিকারী সূত্রে মালিক ক্ষমতার জোরে আমার জমির উপর মাছের সেড তৈরী করে চেয়ারম্যানসহ একটি শত্রু সারা জীবনের জন্য আমাকে দখল থেকে সরিয়ে দিতে পায়তারা করছেন।
দোকান মালিকরা, জানান তাদের দোকান বন্ধ করে দেওয়াল করায় তারা বড় বেকায়দায় আছে, মুলতঃ জমির মালিক চন্দন চন্দ গংরা।
চেয়ারম্যান আব্বাস উদ্দিন বলেন আমরা চন্দন চন্দ গংরাদের সাথে আপোষ নিষ্পত্তির জন্য বসেছি সে মামলা তুলে নিবে, কথা বলুন উপজেলা ভুমি অফিসার হাছনুল আলমের সঙ্গে উনি ভালো বলতে পারবেন। ইউনিয়ন ভুমি অফিসার হাছনুল আলম বলেন আমি কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে পাই উত্তরাধিকারী সূত্রে মালিক চন্দন চন্দ গংদের প্রতিবেদনও দিয়েছি।