আব্দুর রহমান হীরা সিলেট।।
গোলাপগঞ্জ ভাদেশ্বর গ্রামের পূর্বের শত্রুতার জের ধরে হাজেরার ইশারায় অন্ডকোষ হারালেন ফরহাদ।
ভাদেশ্বর কলাশহর গ্রামের হাজেরা বেগম বিয়ের প্রস্তাব দেন ফরহাদ কে, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় হাজেরার ইশারায় রাত্রের অন্ধকারে তিন জন লোক ফরহাদকে আত্রুমণ করে তার পরনের প্যানটখুলে ধারালো অস্র দিয়ে অন্ডকোষে আঘাত করে ফরহাদকে প্রানে মারার পরিকল্পনা ছিলো তাদের।
ঘটনাটি ঘটে ৯মে রাত ৯টায় ভাদেশ্বর কলাশহর মাদ্রাসা সংলগ্ন কুড়ানদীর খেয়া ঘাটে বড় বটগাছের নিচে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,সিলেট গোলাপগঞ্জ উপজেলার ভাদেশ্বর মাশুরা (বড়বাড়ি) আব্দুল হকের ছেলে ফরহাদ আহমদ (৩০) গত ৯ মে ভাদেশ্বর বাজারে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্টান হক ব্রাদাস নামক মুদির দোকান থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাত আনুমানিক ৯টার দিকে ভাদেশ্বর কলাশহর মাদ্রাসা সংলগ্ন কুড়ানদীর পাড়ে বটতলায় খেয়া ঘাটে পৌছা মাত্র অপরিচিত ৩ জন লোক তাকে ঝাপটে ধরে মাটিতে ফেলে জোরপৃর্বক পরনের প্যানট খুলে তার অন্ডকোষে ব্লেড অথবা ক্ষুর জাতীয় কিছু দিয়ে কেটে ফেলে। ফরহাদের আর্তচিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এসে ফরহাদকে উদ্ধার করে আশংকা জনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করেন। ফরহাদ এ জগন্য কর্ম কান্ডের জন্য দায়ী করেছেন ভাদেশ্বর কলাশহর গ্রামের ফয়জুল হকের মেয়ে হাজেরা বেগম কে।ফরহাদ ও তার পরিবারের লোকজন দের সাথে সাক্ষাৎ করে জানা যায় গত ৩তিন বৎসর পূর্বে পাইওনিয়ার ঋন দান সমবায় সমিতিতে ফরহাদ ও হাজেরা বেগম উভয় চাকুরি করতেন। চাকুরি কালীন সময়ে দু জনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমতাবস্থায় কিছু দিন অতিবাহিত হওয়ার পর হাজেরা ফরহাদকে বিয়ের প্রস্তাব করেন। ফরহাদ বিয়ে করতে অসন্মতি প্রকাশ করেন কারণ হাজেরার বয়স ফরহাদের চেয়ে অনেক বেশি।ফরহাদ অন্যত্র বিয়ে করেন।এ
বিয়ে মেনে নিতে পারেন নি হাজেরা, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মোবাইল ফোনে ফরহাদ কে গালিগালাজ প্রান নাশের হুমকি উচিৎ শিক্ষা দিবে বলে শাসিয়েছে বলে জানান ফরহাদ।
এদিকে এ নৈরাজ্যকর ঘটনায় মাশুরা গ্রামের মানুষের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এ বিযয়ে গত কাল গোলাপগঞ্জ থানায় হাজেরা বেগম কে প্রধান আসামি করে আরও অজ্ঞাত নামা ৩ জন কে আসামি করে আহত ফরহাদের পিতা আব্দুল হক বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।