আইন কে বৃদ্ধা আঙুলী দেখীয়ে টিলাকাটা অব্যাহত রেখেছে গোলাপগঞ্জের জাঙ্গাল হাঁটার নাজিম উদ্দীন ওতার ছেলেরা

  • আপডেট টাইম : July 07 2020, 10:09
  • 790 বার পঠিত
আইন কে বৃদ্ধা আঙুলী দেখীয়ে টিলাকাটা অব্যাহত রেখেছে গোলাপগঞ্জের জাঙ্গাল হাঁটার নাজিম উদ্দীন  ওতার ছেলেরা

এম,এ,,রউফ।।
টিলা কেটে পরিবেশ ধ্বংশ, দুটি বাড়ি ভেঙে পড়ছে অস্তিত্বহীন হয়ে পড়ছে দুটি পরিবারের মানুষ।

তাদের আহাজারীতে ভারি হয়ে উঠছে বাতাস।কেউ শুনেনি তাদের আর্তনাদ৷ নাজিম উদ্দীন ও তার ছেলেরা আইন কে বৃদ্ধা আঙুলি দেখিয়ে পাহাড় কাটা অব্যহত রেখেছে। এমন দাবী ভোক্তভুগীদের।গোলাপগঞ্জে উপজেলার জাঙ্গাল হাঁটা গ্রামে নাজিম উদ্দীন ও তার ছেলেরা মিলে অবৈধভাবে টিলা কাঁটার দায়ে
গত ১৪ জুন রবিবার সরজমিনে উপস্থিত হয়ে গোলাপগন্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি )শবনম শারমিন ও সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আলমগীর মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে টিলা কেটে পরিবেশ বিনিষ্টকারীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্হা নেন।
অন্যের জন্য কুপ খোড়ে নিজেই এই কুপের মধ্যে পড়লেন নাজিম উদ্দিন
যে স্থানে টিলা কাঁটা হয়েছে এই স্থানে প্রায় ৭৫ ফুট লম্বা ২০ ফুট উচ্চতা রড দিয়ে আরসিসি ঢালাই দিয়ে দেয়াল নির্মান করতে ও পুনরায় যে ভাবে ছিল টিলার মাটি ঐ ভাবে ৪০ দিনের মধ্যে ভরাট করে দিতে লিখিত নির্দেশ প্রদান করেন। এবং তাৎক্ষণিক ৫০ হাজার টাকা অনাদায় ১মাসের জেল প্রদান করছেন। কিন্তু ৪০ দিনের মধ্যে ২৪ দিন অতিবাহিত হলেও এখনও নাজিম উদ্দীন কোন কার্যত্রুম শুরু করেননি। উল্টো আইন কে বৃদ্ধা আঙুলী দেখিয়ে পাহাড় কাঁটা অব্যাহত রেখেছে এবং বিভিন্ন নাটকীয়তা করে পার-পাওয়ার চেষ্টা করছেন।

ভুক্তভোগী দু পাশের দুটি বসত বাড়ীর মালিক রেহেনা পারভিন ও হাবিবা আক্তার সীতী নিরুপায় হয়ে আবারও গোলাপগঞ্জ থানায় নিরাপত্তার জন্য, এসিল্যান্ড ও সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক বরাবরে আবেদন করেন পাহাড় কাঁটার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্হা নেওয়ার জন্য।

উক্ত বিষয়ে এ প্রতিবেদক গোলাপগন্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি )শবনম শারমিন ও সিলেট পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আলমগীরের সাথে আলাপ করলে তারা বলেন,আমরা ৪০ দিনের সময় দিয়ে এসেছি নাজিম উদ্দিন সহ গংদের ৪০ দিনের মধ্যে নির্দেশ মতো কাজ না হলে আমরা আইনী ব্যবস্হা নিব।
সিলেটী কথায় আছে,” লাঁঠি আনতে আনতে কিলে শেষ”। চলমান বৃষ্টির ভারিবর্ষনে ভেঙে পড়ছে টিলার মাটি। নাজিম উদ্দিন বসে নেই সে আইনের অনেক উর্ধ্বে সে আইনের তোয়াক্কা করে না তার টাকা আর প্রভাবের কাছে আইন কিছুই না, তার নিয়ন্ত্রণে সব আইন কানুন। এর জন্য সে চালিয়ে যাচ্ছে তার টিলা কাঁটার পরিকল্পিত মিশন।

সরজমিনে দেখা যায়,গোলাপগঞ্জ উপজেলার জাঙ্গাল হাঁটা গ্রামে নাজিম উদ্দীন ও তার ছেলেরা মিলে অবৈধভাবে টিলা কাটছে। গ্রামে পাশাপাশি তিনটি টিলায় বসত বাড়ী, মধ্যে খানে টিলার সামনের একটু নিচু টিলায় বসতবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন নাজিম উদ্দীন ও তার ছেলেরা আর দুটি টিলার মধ্যখানের টিলটাই হচ্ছে তার, এই সুযোগে আস্তে আস্তে নাজিম উদ্দীন গংদের নিচু টিলার বসত বাড়ী থেকেই মধ্যখানের টিলায় শুরু করলেন টিলার মাটিকাটা আর দু পাশের বসত বাড়ী ভেঙে পড়ে অস্তিত্বহীন দুটি পরিবার।

বার বার নিষেধ করার পরও নাজিম উদ্দীন ও তার শিক্ষিত ছেলেরা টিলা কাটা বন্ধ করেতে নারাজ। তাদের উদ্দেশ্য আমার টিলার মাটি আমরা কাটছি তাতে কার কি আসে যায়। এভাবে চলতে থাকে, পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংশকারী নাজিম উদ্দীন ও তার ছেলেদের টিলা কাঁটার পরিকল্পিত মিশন।
ভুক্তভোগী দু পাশের দুটি বসত বাড়ীর মালিক রেহেনা পারভিন ও হাবিবা আক্তার সীতী,, দু পরিবারের দু জন নিরুপায় হয়ে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার বরাবরে অভিযোগ করেও নাজিম উদ্দীনের পাহাড় কাটা বন্ধ করতে পারেননি।

নাজিম উদ্দীন ও তার ছেলেরা শুধু পাহাড় কেটে শান্ত নয়, তারা ঐ দুই টিলা বাড়ি বসবাসকারীদের কে প্রানে মারার হুমকি দুমকি ও নানাভাবে হয়রানি করছে। অসহায় গরীব এতিম হাবিবা জানান এদের জন্য আজ আমার পরিবার নিরাপত্তাহীন অবস্থায় আছি মানষিক ভাবে খুব একটা ভালো নেই।
নিরাপত্তার জন্য গোলাপগন্জ থানায় সাধারণ ডায়রী করেছি। সেখানেও বাধাঁ তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই রুকনুজ্জামান, নাজিমুদ্দিন গংদের সাথে হাত মিলিয়ে মোবাইল কোর্টের দেয়া রায়কে অসম্মান প্রদর্শন করেন। বিবাদির পক্ষ নিয়ে বলেন, দুটি কেন একটি গার্ড ওয়াল নির্মান করলেই হয়, বাদীকে বলেন, আপনারা বিষয়টি সময় থাকতে আপোষ করেন।
উল্লেখ্য যে, দীর্ঘদিন থেকে সিলেটের গোলাপগঞ্জে উপজেলার জাঙ্গাল হাঁটা গ্রামে নাজিম উদ্দীন ও তার ছেলেরা মিলে অবৈধভাবে টিলা কেটে পরিবেশ বিনষ্ট করে আসছে। তারা কি এ দেশের আইনের উর্ধ্বে নাকি আইনের ধরাছোঁয়ার বাহিরে? জানতে চায় সচেতন মহল।

0Shares
এই ক্যাটাগরীর আরো খবর
July 2020
M T W T F S S
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
2728293031  
0Shares