দেশ প্রতিনিধি:: সিলেটের কানাইঘাটে জলাবদ্ধতার পানি নিষ্কাসনকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের কিল-ঘুষিতে আতাউর রহমান (৬০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ রবিবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার ঝিঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের উপর ঝিঙ্গাবাড়ী হরিসিং মাটি গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় থানা পুলিশ মীর মাটি গ্রামের কুদরত উল্লাহ (৫০), তার ছেলে লিমন আহমদ (২৩) ও তার বোন মাহদিয়া (২৪)-কে আটক করেছে। তন্মধ্যে আহত কুদরত উল্লাহকে পুলিশ হেফাজতে সিলেট এম.এ.জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা যায়,বৃষ্টির পানির কারণে স্থানীয় হরিসিং মাটি গ্রামের আতাউর রহমানসহ অনেকের বাড়িতে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় জলাবদ্ধতা দেখা দেয়। রবিবার সকাল ১০টার দিকে আতাউর রহমান তার ভাতিজাকে নিয়ে তার বসত বাড়ির পাশে অবস্থিত হরিসিং মাটি খাল দিয়ে পানি নিষ্কাশনের জন্য কাজ করছিলেন। এসময় পাশ্ববর্তী মিরমাটি গ্রামের কুদরত উল্লা ও তার ছেলে লিমন আহমদ,সুমন সহ পরিবারের লোকজন আতাউর রহমানকে পানি নিষ্কাশনের কাজ করতে বাধা প্রদান করে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির জের ধরে কুদরত পরিবারের সদস্যরা আতাউর রহমানকে কিল,ঘুষি ও লাথি মারতে থাকলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। তাকে উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা আতাউর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী কামরুন নাহার বাদী হয়ে কুদরত উল্লাহসহ তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। নিহত আতাউর রহমানের ছেলে আব্দুশ শাকুর জানান, তার বাবাকে কুদরত উল্লাহ ও তার ছেলে লিমন,সুমন,সালেহা বেগম,মাহদিয়া বেগম পূর্ব পরিকল্পিতভাবে কিল,ঘুষি ও লাথি মেরে হত্যা করেছে। তারা এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে।
কানাইঘাট থানার ওসি (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, লাশের ময়না তদন্তের পর কিভাবে আতাউর রহমান মারা গেছেন তা জানা যাবে। আমরা এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে ৩জনকে প্রাথমিকভাবে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের পর যাদেরকে আসামী করা হবে তাদেরকে আটকের চেষ্টা করা হবে।